শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥
চেক প্রতারনার অভিযোগে নগরীর সাফারিয়া ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক সোলায়মান হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইসলামী ব্যাংক বরিশাল শাখার অফিসার মুর্তাজা বিল্লাহ মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মোঃ মারুফ আহমেদ তা আমলে নিয়ে সমন জারির নির্দেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত সোলায়মান হোসেন পুলিশ লাইনস্ রোডের এন হোসেন গলির শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে। আদালত সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ৯ নভেম্বর সোলায়মান হোসেন ইসলামী ব্যাংক বরিশাল শাখা থেকে বিনিয়োগ ঋণ নেয়। গত ৭ আগষ্ট ব্যাংকের দেয়া শর্তানুসারে সোলায়মান ব্যাংকের সার্ভিস চার্জসহ ঋণ পরিশোধে ব্যাংক বরাবরে ২৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭০৮ টাকার চেক দেয়। একই দিন চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে তা ডিসঅনার হয়।
এতে ৮ আগষ্ট সোলায়মানকে আইনী নোটিশ দেয় ব্যাংক। নোটিমের কোন জবাব না দেয়ায় গতকাল মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই নির্দেশ দেন। অন্যদিকে প্রতারনার মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নগরীর পরিবহন মালিক মোবিন খান ওরফে মুরাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারনা শিকার নজরুল ইসলাম নেছার মামলাটি দায়ের করেন। আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মোঃ মারুফ আহমেদ বরিশাল বাস মালিক সমিতির সভাপতিকে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলায় অভিযুক্ত মুরাদ হযরত কালুশাহ সড়কের এমডি নাছিম খানের ছেলে ও লোকাল পরিবহন পথের সাথী নামক বাসের মালিক। আদালত সূত্র জানায়, বরিশাল ভুরঘাটা রুটের পথের সাথী নামক বাসটি বিক্রয় করার কথা বলে মুরাদ। এতে এয়ারপোর্ট থানা এলাকার প্রতাপপুরের নজরুল ইসলাম নেছার বাসটি ৪০ লাখ টাকায় কিনতে ই”ছা প্রকাশ করেন। ২০১৪ সালের ৮ মে নজরুল ইসলাম বাস ক্রয়ের অগ্রীম বাবদ ৫ লাখ টাকা দেন।
এছাড়া আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাকী টাকা পরিশোধ করলে বাসটি তার কাছে হস্তান্তর করার চুক্তি হয়। পরে নজরুল ইসলাম বিভিন্ন সময় মুরাদকে মোট ২৩ লাখ টাকা দেয়। অতঃপর বাকী ১৭ লাখ নিয়ে মুরাদকে বাসটি তার নামে হস্তাস্তর করার জন্য বললে সে টালবাহানা শুরু করে। ঘটনার দিন গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে নজরুল ইসলাম নথুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে বসে বাকী টাকা নিয়ে বাস তার নামে হস্তান্তর করতে বললে মুরাদ টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে। এঘটনায় মামলাটি দায়ের করলে বিচারক ওই নির্দেশ দেন।
Leave a Reply